বাংলাদেশ ব্যাপক জনসংখ্যা অধ্যষিত একটা দেশ। ঢাকা শহরেই এক কোটির ওপর লোকের বাস। শহরাঞ্চলগুলোতে ব্যাপক পরিবেশ দূষণের কারণে মানুষ সবসময় স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করে। পরিবেশ দূষণের আর সব কারণের মধ্যে পলিথিন একটা অন্যতম কারণ হিসেবে বাংলাদেশে চিহ্নিত। পলিথিন এমন একটা পণ্য যা মাটির মধ্যে মেশে না ও পানিতে গলে না । ফলে মাটি দূষণের ও পানি দূষণের তা অন্যতম কারণ । এর ব্যাপক ব্যবহার এবং যত্রতত্র তা ফেলার ফলে রাস্তা-ঘাট, বাসা-বাড়ি সর্বত্র তা আবর্জনা সৃষ্টির একটি কারণ হিসেবে বিবেচিত। স্যুয়ারেজ লাইন আটকে যাওয়া, জলাবদ্ধতা ইত্যাদির অন্যতম কারণ এ ধরনের পলিথিন । অন্যান্য ময়লা ও বর্জ্য যেভাবে সংগ্রহ, বহন ও নিঃশেষ করা যায় এটা তা করা যায় না । বরঞ্চ ব্যবহৃত পলিথিন সংগ্রহ করে পুনরায় উৎপাদন কাজে লাগাতে যেয়ে এটা আরেক ধরনের বায়ু দূষণের সৃষ্টি করে । তাই সবকিছু বিবেচনায় সরকার ১০০ মাইক্রোনের নিচে উৎপাদিত সকল ধরনের পলিথিন উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার ১ জানুয়ারি ২০০২ থেকে ঢাকা মহানগরীতে এবং ১ মার্চ ২০০২ থেকে সারাদেশে নিষিদ্ধ করেছে । এর বিকল্প বিভিন্ন রকমের চট, কাপড়, কাগজের ব্যাগ, ঠোঙ্গা ইত্যাদি ব্যবহারে সরকার জনগণকে উৎসাহিত করছে । যদিও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বা যোগসাজসে পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাত করছে তথাপিও এর ব্যাপক ব্যবহারের ফলে যে দৃশ্যমান বিপদের সৃষ্টি হয়েছিল তা কমে এসেছে ।